My Poem

The following poem has been published in www.bangla-kobita.com website.

পুত্রকথা


গুণীজনে কহে আর শুনে পাগল কবি
দুনিয়াতে যাহা দেখি মায়া তার সবই।
আজ যেই পুত্র ঘুরে মায়ের আঁচলে,
বহু দূরে যাবে সেই পুত্র বড় হলে।
পিছে পড়ে র'বে তার শুধু স্মৃতিগুলি,
পিছে পিছে ঘুরা, আর আধো আধো বুলি।



(রচনাকাল: ১৩ নভেম্বর ২০১৩ ইং)


কবিতার এই পুত্র আমি, ছোটবেলায় মায়ের আঁচলে আঁচলে ঘুরে বড় হওয়া একজন। এখন মা-কে ফেলে থাকি দুনিয়ার উল্টো পীঠে। আমার নিজেরও এখন এক পুত্র আছে, আমার পায়ে পায়ে ঘুরে সবসময়। আমার হাত ছাড়া ঘুমাতে পারে না। নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করার চেষ্টা করছি সে সময়ের জন্য, যখন আমার পুত্রও আমাকে ফেলে অনেক দূরে চলে যাবে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নে।



১১টি মন্তব্য


বনিআমিন
বনিআমিন
২৭ অক্টোবর ২০১৭
আমি সহজে কোন বিষয়ের উপর মন্তব্য করি না তাছাড়া সুন্দর মন্তব্য করার সেই যোগ্যতাও আমার নেই,তবে আজ না করে পারলাম না। কবিতাটি পড়ে চোখে পানি এসে গেলো,কি মন্তব্য করবো আজও পারলাম না! তোমার মঙ্গল কামণা করছি। - বনিআমিন
৭ নভেম্বর ২০১৭
ধন্যবাদ বনি আমিন ভাই :)
২১ এপ্রিল ২০১৭
পুত্রকথা ।। অসাধারণ অনুভূতির লিখন ।। অনেক অনেক ভালো লাগা সুস্থ থাকুন সর্বদা ।। শুভ কামনা নিরন্তর...
২৩ এপ্রিল ২০১৭
সাধারণভাবে বলা সাধারণ কথা, হয়তোবা ছিল তার কিছু গভীরতা। ধন্যবাদ :)
২১ এপ্রিল ২০১৭
জীবন চক্রের খেলায় স্মৃতি সর্বদাই আবেগ যোগায়! বাস্তবতার দাবী মেটাতে মানুষ বড় অসহায়! অনেক অনেক অনেক ভাল লাগা নিয়ে গেলাম প্রিয় কবি।
২৩ এপ্রিল ২০১৭
ধন্যবাদ আদৃত কবি! :)
২১ এপ্রিল ২০১৭
কঠিন বাস্তব। শুভেচ্ছা কবিবর।
২৩ এপ্রিল ২০১৭
ধন্যবাদ :)
২১ এপ্রিল ২০১৭
খুব সুন্দর সত্যের উপস্থাপনায় মুগ্ধ হলাম কবি। শুভেচ্ছা রইল।
২৩ এপ্রিল ২০১৭
ধন্যবাদ আপনাকে!
২১ এপ্রিল ২০১৭
সুন্দর কাব্য শুভেচ্ছা প্রিয় কবি।
২৩ এপ্রিল ২০১৭
ধন্যবাদ :)
২১ এপ্রিল ২০১৭
সময়ের রিতি এই চিরবহমান, বীজপত্র হয়ে যায় বৃক্ষ মহান। পাতা ডালে বয় তবু শিকড়ের মাটি, অতীত ভোলে না যে সে মানুষ খাঁটি। কর্মসূত্রে প্রায় সবারই এই একই অবস্থা। তাই মনকে নাড়া দিয়ে যায় আপনার এই কবিতাটি।।
২৩ এপ্রিল ২০১৭
ধন্যবাদ! এগুলো আসলে কবিতা হিসাবে লেখা হয়নি। যখন যা নিয়ে যে কয় লাইন মাথায় আসে, তা কোথাও না কোথাও লিখে রেখে দেই। তেমনই এক লেখা এটি। :)
২৩ এপ্রিল ২০১৭
ঠিক কবিগুরুর কণিকার মতো। অনেক ভালোলাগা রইলো।
২১ এপ্রিল ২০১৭
"কর্মই ধর্ম"! সেই কর্মের জন্য আপনাকে দূরে থাকতে হয় কিন্তু মানসিক ভাবে আপনি আপনার বাবা-মায়ের কাছেই আছেন, সেটাই বড় কথা। আপনার বাবার শরীর এখন কেমন আছে?
২৩ এপ্রিল ২০১৭
বাবা ভালো আছেন, ধন্যবাদ! :) কর্ম হয়তো তাদের কাছে থেকেও করতে পারতাম। আসলে জন্ম থেকেই বাংলাদেশের এ মাথা থেকে ও মাথা ঘুরে বড় হওয়া, তাই সহজে এক জায়গাইয় স্থির হতে পারতাম না। ছুটতে ছুটতে পৃথিবীর একেবারে অপর প্রান্তে এসে অবশেষে থিতু হয়েছি।
২১ এপ্রিল ২০১৭
এই উপলব্ধিটাও বা ক'জনের হয়! আমরাও সবাইকে ফেলে জীবিকার প্রযো়জনে পৃথিবীর উল্টো পিঠে! তাই,আমিও আমার সন্তানদের কাছে কোনোদিন কোনো প্রত্যাশা রাখতে চাইনা বা ওদের ওপর কোনো অধিকার ফলাতে চাইনা!শুধু আমার কর্তব্য করে যেতে চাই যাতে ওরা মানুষের মতো মানুষ হতে পারে!আপনার ভাবনার সঙ্গে আমার ভাবনার মিল পেলাম!তাই এতোগুলো কথা বললাম! ভালো লাগল খুব আপনার কাব্যভাবনা!শুভেচ্ছা অপার!
২৩ এপ্রিল ২০১৭
ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে তেমন কিছু করার নেই, এটাই জীবনের ধারা। কেউ হয়তো তা উপলব্ধি করি, কারও অনুভবে হয়তো তা তেমন দাগ কাটে না।
২১ এপ্রিল ২০১৭
আপনি যা লেখেন ভাই অমৃতসমান সবার ক্ষেত্রে সত্য এটা সম গুণমান l পুত্র তার পুত্রকালে মাতা শুধু জানে সেই পুত্র বড়ো হলে যুগধর্ম মানে l জগতে যা ঘটে কিছু অমৃতসমান কবিমন পায় দেখা জহুরির জান l
২৩ এপ্রিল ২০১৭
চমৎকার বলেছেন!
২১ এপ্রিল ২০১৭
এটাই বাস্তব ! তবে ভালোমন্দের আদর্শ বজায় রেখে যদি আপনার পুত্র আপনার মতো মহান লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে তা সে যত দূরেই থাকুক না কেন সেতো আপনার জন্যে গৌরবের হবে বন্ধু ! ঈশ্বর আপনার সহায় হন !
২৩ এপ্রিল ২০১৭
ধন্যবাদ! তবে... মহান ভেবে যা করি তাই হয়তো মোটেই মহান নয়, ভিন্ন খাতার হিসেবে তা হয়তো শুধুই অবক্ষয়। মহান না হোক, পুত্র যেন সৎ ও সুখী মানুষ হয়, মানবতার ধর্মে যেন জীবন গড়ে আলোকময়।
মন্তব্য করুন