My Poem

The following poem has been published in www.bangla-kobita.com website.

অচীনপুর


মনের মাঝে বাজলো এ কি মন মাতানো সুর,
দূর থেকে দূরে নেচে সুরে সুরে
নতুন সাজে সাজলো মনের কোন সে অচীনপুর!
সেথায় নিত্য গানের মেলা
সেথায় সুখের ফাগুন খেলা,
মনের দুয়ার খুলে আপন ভুলে হলেম সেথায় চূড়।
আজ তোমার সুরে বাধঁলো মনের সুর।


তোমার চোখের তারায় দেখি আমার বসুন্ধরা,
তাই চোখে চোখে যেন থেকে থেকে
মন হারিয়ে খুঁজে বেড়াই যায় না যে মন ধরা।
সেথায় দুষ্ট হাসির মায়া,
সেথায় শুভ্রতারই ছায়া,
সেই চোখের তারায় নেশার ধারায় হলেম পাগলপারা!
আজ তোমার চোখেই আমার সুখের ধারা।


মনের মাঝে অচীনপুরের খুললো সকল দ্বার,
মন থেকে মনে গোপনে গোপনে
কোন সেতুতে বাধঁলো মনের অচেনা দুই পার!
সেথায় শুধুই তুমি-আমি,
সেথায় সুখের চেয়েও দামী
সকল স্বপ্ন দিয়ে সাজানো আজ আমাদের সংসার।
আজ তোমার মাঝেই আমার অভিসার।


(রচনাকালঃ ২৭ জুলাই ২০১১ ইং)
এই কবিতাটিও আমার সহধর্মিনী মৌসুমি-কে উৎসর্গ করা



৭টি মন্তব্য


২৭ অক্টোবর ২০১৪
অসাধারণ সুন্দর ! আমি যদি পারতাম আপনার মতো একটিও কবিতা লিখতে আজ অঙ্কিতাকে উত্সর্গ করতাম ................।
২৭ অক্টোবর ২০১৪
ধন্যবাদ :)
৯ অক্টোবর ২০১২
বেশ ভালো।
১৮ জুন ২০১৩
ধন্যবাদ... :)
৯ অক্টোবর ২০১২
প্রকৃতই মন মাতানো সুর, আমরা পেলেম তারে, এই কবিতার আসরে, মোটেই নয়কো দূর।
১৮ জুন ২০১৩
ধন্যবাদ অরুন কারফা... :)
৯ অক্টোবর ২০১২
ধন্যবাদ কবীর, আশেক, ও আতিক... :)
৪ অক্টোবর ২০১২
কবিতা কবি-হৃদয়-নিহিত ভাবের ছন্দোবদ্ধ ও শিল্পিত প্রকাশ হলো কবিতা। অপরিহার্য শব্দের অবশ্যম্ভাবী বাণী-বিন্যাসকে কবিতা বলে। কবিতা নারীর ন্যায়। নারী যেমন সাজসজ্জায়, বিলাসে-প্রসাধনে, আকারে-ইঙ্গিতে নিজেকে মনোরমা করে তোলেন, কবিতাও তেমনি শব্দে, ছন্দে, উপমায়, চিত্রে ও অনুভূতির নিবিড়তায় নিজেকে প্রকাশিত করে। জীবনের সুখ-দঃখ, পাপ-পূণ্য, ধর্ম-অধর্ম, অর্থ-অনর্থ, কাম-ক্রোধ, মোক্ষ প্রভৃতি যে কোন বিষয়ই কবিতার উপাদান হতে পারে। কবিতার চিরন্তন আবেদন আমাদের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য্যবোধের কাছে। কবিতা ভাব-সঞ্চারী বিধায় তা আমাদের মনে বিচিত্র রস উদ্দীপন করে। কবিতাকে প্রধানতঃ দুই প্রকারঃ ০১। মন্ময় কবিতা- কবি নিজের অন্তরগত অনুভূতি, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, ভাবনা-চিন্তা ইত্যাদি কাব্য সামগ্রী হিসেবে গ্রহন করে কবিতা প্রকাশ করেন। অর্থাৎ ব্যক্তি-নিষ্ঠ কবিতাই মন্ময় কবিতা। ০২। তন্ময় কবিতা- কবি যখন বস্তুজগতকে যথাযথভাবে প্রকাশ করেন, তখন তাকে তন্ময় কবিতা নামে অভিহিত করি। অর্থাৎ তন্ময় কবিতায় বস্তু-সত্তাই প্রধান। তবে, সম্পূর্ণরূপে মন্ময় বা সম্পূর্ণরূপে তন্ময় কবিতা লিখা অসম্ভব। একান্ত বস্তু-নিষ্ঠ কবিতার মাঝেও কবি প্রাণের শিহরণ সঞ্চারিত হয়ে থাকে। আবার ব্যক্তি-নিষ্ঠ কবিতায়ও বস্তু-সত্তার প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়। কবিতার প্রাণ হলো ছন্দ। বাংলা কবিতায় তিন প্রকার ছন্দ ব্যবহৃত হয়ে তাকে। স্বরবৃত্ত ছন্দ, মাত্রাবৃত্ত ছন্দ এবং অক্ষরবৃত্ত ছন্দ। কবি মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেন। আধুনিক কবিতায় ছন্দের অন্তঃমিল ব্যবহৃত না হলেও ছন্দিত স্পন্দন বিরাজমান।
১১ জুলাই ২০১৩
ধন্যবাদ। স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ও অক্ষরবৃত্ত ছন্দ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চাই।
৩ অক্টোবর ২০১২
দারুন
৩ অক্টোবর ২০১২
দারুন হয়েছে। আপনার হৃদয় অঞ্চলে সর্বদা বিরাজমান থাকুক মৌসুমি জলবায়ু। :-)
মন্তব্য করুন