চলার পথে হঠাৎ খ্যাপা গরু এলে তেড়ে ব্যাগটা ফেলে আমিও চো চো দৌড় লাগালাম ঝেড়ে। যতোই আমি পালাই খিঁচে শিং বাগিয়ে গরুও পিছে দৌড়ে এসে এক গুঁতোতেই লুঙ্গি দিলো ফেড়ে!
(লিমেরিক সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি তাতে পঞ্চপদী এই ছড়ায় গুরুভার কোনো বিষয়বস্তু থাকবে না। হাস্যরসাত্মক ও অনেকটা অর্থবিহীন বক্তব্য থাকবে কেবল। লিমেরিক লেখার প্রথম প্রচেষ্টায় তাই তেমনটাই চেষ্টা করলাম। এটি পড়ে যদি মজা পান তবেই চেষ্টা সার্থক হয়েছে বলে মনে করবো।)
আপনার এ ধারণা একেবারেই ভুল যে লিমেরিক অনেকটা অর্থ বিহীন। লিমেরিক অবশ্যই হাস্যরসাত্মক কিন্তু সেই হাস্যরসের মধ্যেই লুকিয়ে সুপ্তভাবে থাকে অনেক গূঢ় তথ্য। যেমন একটা লিখছি।
পান্তা ভাতে কান্তা খুড়ি ছেলে পিলে বিদেশ থাকে
ভিক্ষা করেই কান্তা পোষে অনাথ ঐ শাবক টাকে।
রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনে
জড়িয়ে নিছে তার ঐ প্রাণে,
দান দখিনায় আমরা বাড়া, দিতে নারি খুচরো তাকে।
লিখতে গিয়ে চোখে জল এসে গেল প্রিয় কবি। রসাত্মকের সাথে সাথে, এমন কিছু লিখবার চেষ্টা করবেন লিমেরিকে। হার্দিক শুভকামনা রইল।
“জকি”
(সারমর্মঃ সরকারের দরবার হতে ক্ষতিপূরণ তা সে যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন, বছরের পর বছর কেটে যায় তা আদায়ে, যা কীনা এক নিমেষেই হতে পারতো। অথচ সে দাবি আদায়ে কতই না চিঠি চাপাটি আর ধর্ণা ও পথ অবরোধ)
বাপ রে বাপ গরুর শিঙ, গুতিয়ে দিল সত্যি নাকী
লুঙ্গি ছিঁড়ে ব্যথা খেয়েই বলুন দাদা কান্ড সে কী!
লিখবো চিঠি সরকারে
অনেক টাকার দরকারে,
খরপোষ তো আদায় নিবই, নইলে নিব গরুর জকি।
থাকলে জকি বাঁধবে গরু ঘোড়ার মালিক সেই না কী না!
এমন তেমন কান্ড তো আর, রাস্তা ঘাটে আর হবে না।
মিটিং মিছিল অবরোধেই
থাকবে হতে অবাধেতেই,
তড়িৎ করুন পত্র ধরুন, বলেই ফেলুন দেবেন কী না।
শুভকামনা।
ব্যাগটা ফেলে আমিও চো চো; দৌড় লাগালাম ঝেড়ে। একটা সেমিকোলন বা কমা এখানে দিলেই তরল সরল ভাবে ছন্দ বদ্ধ হয়ে ওঠে। আমি তো এভাবেই পাঠ করেছি প্রিয় কবি। অপূর্ব সুন্দর লিমেরিক। তবে লিমেরিক সম্বন্ধে আমার মতামত আমি আমার মন্তব্যে দিয়েছি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল প্রিয় কবি।
'আমিও চো চো' আর 'আমিও চো'; মনে হয়, পড়তে গিয়ে 'আমিও চো'-তেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হচ্ছে। এখানে, 'আমিও' শব্দটি ৩ মাত্রারই মনে হয়। শুভ কামনা প্রিয়।
তবে, আমিও-এর ও-টা বাদ দিলেও তালময় হয়।