My Poem

The following poem has been published in www.bangla-kobita.com website.

ডুবে আছি


চারপাশে ভাসে অস্ফুট ধ্বনি, শব্দের কোলাহল,
বাতাসের মাঝে হাহাকার শো শো, জলে ধ্বনি ছলছল।
হাসি কান্না বা কথামালা কতো নিরবধি করে খেলা,
বুঝে না বুঝেও সেসবের মাঝে ডুবে আছি সারা বেলা।


আলো ঝলমলে দিন, আর রাতে ঝলমলে বাতিঘরে
কতো না রঙের রঙ্গিন বাহারে জীবন রয়েছে ভরে।
গহীন আঁধারে আকাশেও দেখি মিটিমিটি তারা জ্বলে,
দেখা ও না-দেখা আলোর মাঝেই ডুবে আছি প্রতি পলে।


মুক্ত চেতনা নিজেও জগতে হিসেবের বেড়াজালে
বন্দী হয়ে সে ডুবে আছে ঘোর আঁধার অন্তরালে।
হিসেবের এই জাল ছিঁড়ে আমি যতো চাই ভেসে উঠি,
মোহের আবেশে জগত ততোই চেপে ধরে আরো টুটি।



(রচনাকাল: ৭ জুলাই ২০১৭ ইং)



১৪টি মন্তব্য


৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
খুব ভালো একটি কবিতা। নিটোল ৬-মাত্রার মাত্রাবৃত্তে গভীর ভাবনা প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু কবির নামটি শুধু ‘পল্লব’ কেন? ‘পল্লব-এর সঙ্গে নামের আরো একটি অংশ চাই কারণ এই কবির ভবিষ্যত উজ্জ্বল দেখতে পাচ্ছি
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
আমার কবিতা যে আপনি পড়ে তাতে মন্তব্য করেছেন এটাই আমার জন্য অনেক বড় এক ব্যাপার! আপনাদের কাছ থেকেই শেখার চেষ্টা করছি। আর বুঝতে পারছি যে শেখার অনেক কিছু বাকি আছে এখনও। এছাড়া কিছু জিনিস আছে যা শিখে আয়ত্ত করা সম্ভব না, নিজের ভিতরে থাকতে হয় আগে থেকেই। আপনাদের লেখায় চিন্তা-চেতনার যে স্ফুলিঙ্গ দেখতে পাই, তার কিছুটাও যদি নিজের ভিতর থেকে থাকে, আর সেটাকে সঠিক পরিচর্যায় কিছুটা বাড়াতে পারি, তবে সেটাই হবে বড় এক পাওয়া। বইয়ে কবিতা প্রকাশের ক্ষেত্রে নিজের পুরো নাম 'মোঃ আশফাকুর রহমান পল্লব'ই ব্যবহার করেছি। তবে দুই শব্দের নাম হলেই বেশি ভালো হতো। এ প্রসঙ্গে মজার কথা হলো যে এখানে আমার অফিসের কলিগরা আমাকে দুই শব্দের নামেই চেনে, তবে সেটা বাংলা উচ্চারণে দাঁড়ায় 'অ্যাশ প্যাল্লাব' (আশফাকুর পল্লব-এর আমেরিকান ভার্সন)। :)
১১ জুলাই ২০১৭
সুন্দর ও গভীর ভাবের লেখা। অনেক ভালোলাগা রইল কবিতা ও কবির প্রতি। শুভেচ্ছামন্ত্রণ জানবেন কবি।
১৬ জুলাই ২০১৭
ধন্যবাদ।
৮ জুলাই ২০১৭
প্রতি পলে ডুবে চলেছি গভীর থেকে আরও গভীরে ! অনন্য ভাবনার প্রকাশ ! একরাশ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা !
৮ জুলাই ২০১৭
ধন্যবাদ সৌমেন চৌধুরী!
৮ জুলাই ২০১৭
অসাধারণ-্সুন্দর!অনেক শুভেচ্ছা রইল!
৮ জুলাই ২০১৭
ধন্যবাদ আপনাকে!
৮ জুলাই ২০১৭
কবিতাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে, কবিতার ভাবটি রেখেছি আমার মনের মনিকোঠায়। তবে কবির সচরাচর ছন্দের মোহময়তা কয়েক জায়গায় ব্যাহত হয়েছে বলে আমার মনে হলো। কবিতার ব্যাকরণে আমি পুরোপুরিই অজ্ঞ। তবে কবিতাটি এই অজ্ঞের হলে নীচের কয়েকটি লাইন নিম্নরূপে পরিবর্তণ করতামঃ হাসি বা কান্না কত কথামালা নিরবধি করে খেলা আলো ঝলমল দিন আর রাতে, ঝলমলে বাতিঘরে মুক্ত চেতনা বুকে নিয়ে তবু হিসাবের বেড়াজালে বন্দী হয়ে ডুবে আছি আজও আঁধারের অন্তরালে। অনেক শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা রইল।
৮ জুলাই ২০১৭
ধন্যবাদ খলিলুর রহমান! আপনার সুপরামর্শ সবসময়ই মনোযোগ দিয়ে পড়ি। ছন্দ ঠিক থাকলেও শব্দের বিন্যাসে কিছু জায়গায় যে খাপছাড়া লাগে লেখাটি, তা আমি নিজেও শুরু থেকেই খেয়াল করেছি। কিন্তু সেটা ঠিক করতে গেলে আবার ঠিক যা বুঝাতে চাচ্ছি সেই অর্থটা চেঞ্জ হয়ে যায় অনেকটা। তাই কম্প্রোমাইজ করেছি বেশ কয়েক জায়গায়। সেগুলোই যে আপনার নজরে এসেছে, এতে আমি খুশি। মনোযোগ ও আগ্রহ নিয়ে না পড়লে তা হতো না। আপনার উল্লেখিত পরিবর্তনে ছন্দ আরও ঝকঝকে হয় নিশ্চিত। তবে কিছু ক্ষেত্রে আবার সেই অর্থের প্রকাশ ব্যাহত হচ্ছে! "আলো ঝলমলে দিন আর রাতে" এক সাথে দিলে রাতকেও আলো ঝলমলে বলা হচ্ছে, যা আমি চাই নি। আমি চেয়েছি দিনকে আলো ঝলমলে, এবং রাতের বাতিঘরকে ঝলমলে বলতে। দিন তো এমনিতেই ঝলমলে, রাতে যেখানে থাকি সেই ঘরও আলোয় ঝলমল করে। আর শেষদিকের অর্থটা হচ্ছে চেতনাকে মুক্ত ভাবলেও সে আসলে জগতের নানা হিসাবে বন্দী, যা আমাদের আঁধারের মাঝেই আটকে রাখছে। আপনার উল্লেখিত পরিবর্তনে এটা বোঝাচ্ছে যে আমি নিজে বন্দী হয়ে যখন আঁধার অন্তরালে ডুবে আছি, চেতনা তখনও মুক্ত রয়েছে বুকের ভিতর। অর্থটা ঠিক থাকছে না। কথাগুলো নিয়ে আরও চিন্তা করছি। যদি সম্ভব হয়, অর্থ ঠিক রেখে শব্দবিন্যাসকে আরও সাবলীল করার চেষ্টা থাকবে। আপনার প্রতি নিরন্তর শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইল।
৮ জুলাই ২০১৭
প্রিয় ও অতি শ্রদ্ধেয় শিক্ষক কবি, আমার ব্যক্তিগত অভিমত- কবিতাটির যে মর্মার্থ সুনিপুণভাবে ফুটে উঠেছে- সেখানে মাত্রার বিষয়টি গৌণ হয়ে গিয়েছে। আর শ্রুতিমধুরতায় খুব বেশী বিচ্যুতি আমার নজরে আসেনি। এরপরও আপনি যে সুক্ষ বিচ্যুতির কথা তুলে ধরেছেন- তাতে মুগ্ধ না হয়ে পারিনা। কবিতার প্রতি আপনার জ্ঞানের গভীরতা আমাদেরকে শাণিত করবে বলে আশাবাদী হয়ে উঠিলাম।
৮ জুলাই ২০১৭
ধন্যবাদ খসা হক! আসলে মাত্রা ঠিক রাখতে গিয়েই শ্রুতিমধুরতায় কিছু বিচ্যুতি এসেছে। উচ্চারণের ধারাবাহিকতা কয়েক জায়গায় হোঁচট খাচ্ছে। যেমন "দেখা অদেখা"-কে মাত্রার জন্যেই করে দেয়া হয়েছে "দেখা ও না-দেখা"। বিষয়গুলো নিয়ে শুরু থেকে আমি নিজেই খুঁতখুঁতে ছিলাম। আমার নিজের মতেই কবি হিসাবে এটা আমার নিজস্ব অক্ষমতা; যা বুঝাতে চাই সেই অর্থটা ঠিক রেখে যেভাবে উপস্থাপন করতে চাই সেভাবে পারছি না। এই খুঁতখুঁতানিটা যদি না থাকে, এবং আত্মস্তুতিতে নিজেই যদি মগ্ন হয়ে যাই, তাহলে সত্যিকারের কবিতা লেখাও আর কখনও সম্ভব হবে না। আর এসব ক্ষেত্রে আপনাদের নানাজনের সৎ সমালোচনামূলক পরামর্শ ও মতামতই আমার মতে একজনকে ভালো কবি হবার পথে ধরে রাখে।
৮ জুলাই ২০১৭
সুন্দর বক্তব্য,ছন্দময়, অর্থবহ, সমাপ্তি সঠিক । শুভেচ্ছা প্রিয় ।
৮ জুলাই ২০১৭
ধন্যবাদ আপনাকে!
৮ জুলাই ২০১৭
পারিপার্শিকতারঋক্ত আবেদনে,একাকিত্বের চরম বেদনার সুন্দর প্রকাশ। শুভেচ্ছা রইল প্রিয় কবি।
৮ জুলাই ২০১৭
ধন্যবাদ মনোজ ভৌমিক!
৮ জুলাই ২০১৭
Sundor
৮ জুলাই ২০১৭
ধন্যবাদ
৮ জুলাই ২০১৭
'রূপ সাগরে ডুব দিয়েছি অরূপ রতন আশা করি....' অনন্য অনুভবের অসাধারন প্রতিফলন। আন্তরিক শুভেচ্ছা রইলো কবি।
৮ জুলাই ২০১৭
ধন্যবাদ!
৮ জুলাই ২০১৭
Darun uposthapon, Chhander aulongkaron- Chhune ai pranomon. Shuvecca kobike.
৮ জুলাই ২০১৭
খুব ভালোলাগা রেখে গেলাম। অনেক শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন।
৮ জুলাই ২০১৭
ধন্যবাদ ড. সুজিতকুমার।
৮ জুলাই ২০১৭
রচনা আমার মতই গতানুগতিক তবে বিষয়বস্তুতে আছে শব্দ-আলো'র (effects of light & sounds) নৈর্ব্যাক্তিক খেলা। আর মাত্রা ছন্দের ফেরকায় নাই বা গেলাম কবি। আমার কানে দু'টি লাইন এভাবেই ভাল লাগছে - "হাসি-কান্না আর কথামালা নিরবধি করে কত খেলা" "দেখা অদেখা আলোর মাঝেই ডুবে আছি প্রতি পলে" অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল কবি।
৮ জুলাই ২০১৭
ধন্যবাদ বুলবুল দা! শুরুতে আমিও "দেখা অদেখা আলোর মাঝেই" লিখেছিলাম। পরে ৬/৬/৪/৪ মাত্রা ঠিক রাখতে গিয়ে "দেখা ও না-দেখা" করে দিয়েছি।
৮ জুলাই ২০১৭
আমি মাত্রা ছন্দের বাইরে শ্রুতির বিচারে বলেছি। তবে, আমার কানের জড়তা ঘুচছে না। যাহোক, সময় সুযোগে তো আরো এডিট হবেই!
৮ জুলাই ২০১৭
নিজেও শব্দটি ব্যবহারে লেখার ব্যাপ্তি ও গভীরতা যতটা বেড়েছে নিরবধী শব্দটি ঠিক ততটা ঠুনকো করেছে বলে আমার মত। অবশ্য বরাবর আমি কিছু শব্দ ফোবিয়ায় ভূগী যার মধ্যে নিরবধী শব্দ একটি।একারনেও ও রকম মনে হতে পারে আমার। বাক্য বিন্যাসে মুক্ত চেতনা নিজেও জগতে এ জায়গাটি আপাতত অন্য বাক্য গঠনের মত ঝকঝকে না হলেও ভাবনা প্রকাশে কবির চৌকশ চেতনা দেখতে পাই। এ কথা একজন সাধারণ পাঠকের মত। কবিতায় কবির চিন্তায় শ্রেষ্ঠ। শুভকামনা।
৮ জুলাই ২০১৭
সুন্দর বিশ্লেষণের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা! নিরবধি শব্দটি আমিও অনেক জায়গায় ব্যবহার করায় ঐ অর্থ প্রকাশ করতে মনে হয় এই শব্দটিই সবার আগে চলে আসে। এর শব্দগত প্রয়োগে আমার নিজেরও একটু খুঁতখুঁতানি থাকলেও অর্থগত প্রয়োগে এটাকেই ঠিক মনে হয়েছে। "মুক্ত চেতনা নিজেও জগতে" অংশটুকু আপনার চোখে পড়েছে দেখে খুশি হলাম। লাইনটা সাবলীল ভাবে প্রথম এভাবে এসেছিলো: "মুক্ত চেতনা জগতের নানা হিসাবের বেড়াজালে"। কিন্তু এতে করে উপরের দুই প্যারার বক্তব্যের পারিপার্শ্বিকতায় যে এই কথাটি এসেছে সেটা ফুটে উঠছিল না ঠিকমতো। "নিজেও জগতে" দেয়ায় প্রাসঙ্গিকতা ঠিক হয়েছে, তবে আমার নিজের কাছেও এই লাইনটি ততোটা মনঃ-পূত হয়নি। কিন্তু এরচেয়ে ভালো আর কোন বাক্য বিন্যাসও মাথায় আসছিলো না। তাই এভাবেই রেখে দিয়েছি। পরবর্তীতে এতে আরও পরিবর্তন আনতে গেলে এই লাইনটাকেই সবার আগে বদলাবার চেষ্টা থাকবে।
৮ জুলাই ২০১৭
'মোহের আবেশে / জগত ততোই / চেপে ধরে আরও / টুটি।' ৬/৬/৭/২ মাত্রা এখানে শেষ পর্বটি ৬ মাত্রার থাকলো না। কবিতায় ভাববাদের সুকুমার চেতনা নিপুণভাবে ফুটে উঠেছে। ভালো লাগলো কবিতা। শুভকামনা কবি পল্লব।
৮ জুলাই ২০১৭
ধন্যবাদ কবীর ভাই। আমি যতটুকু জানি, মাত্রাবৃত্তেও "আরও" দুই মাত্রা হিসাবে বিবেচিত হয়, যেহেতু এর উচ্চারণ হয় "আরো"। মাত্রার হিসাবে যতোটা না অক্ষর দিয়ে হয়, তার চেয়ে বেশি হয় উচ্চারণ দিয়ে। তবে আমার জানায় ভুল থাকতে পারে। আরও ভালোমতো জানার চেষ্টা করবো এ নিয়ে।
৮ জুলাই ২০১৭
"আরো" করে দিলাম। :)
৮ জুলাই ২০১৭
জানা ঠিক আছে। তবে, তা 'আরো' লেখলে অর্থের কোন তারতম্য হতো না। কবিতায় মাত্রার ক্ষেত্রে কখনো কখনো (কখনও কখনও লেখা যেত) ব্যতিক্রম হয়। তাতে, দুষণীয় নয়। মাত্রা হিসেবটা উচ্চারণের উপরই নির্ভরশীল। তবে, মাত্রাবৃত্তে ছন্দে গণনা করার সময় শব্দের শেষে 'ই' 'ও' কেও হিসেবে ধরতে হয়। যদিও স্বরবৃত্তে তা হিসেবে আসে না। ধন্যবাদ কবি।
মন্তব্য করুন