My Poem

The following poem has been published in www.bangla-kobita.com website.

বৈশাখী নাচ


ঐ দেখো রে পেঁচা নাচে,
বাঁদর নাচে ঐ!
ব্যাঘ্র মামাও খ্যামটা তালে
নাচে তাথৈ থৈ!!


মাতালগুলোর উর্দি নাচে
সাথে পাগল কুর্দি নাচে,
মনের মাঝে ফুর্তি নাচে,
কেমনে ঘরে রই?


বৈশাখী ঢেউ তুমুল বানে
ভাসিয়ে নেয় রমনা পানে,
আমিও তার অমোঘ টানে
সঙ্গে শরীক হই!


বাঙালী যে ছিলাম ভুলে,
আজকে দেখি দু'চোখ খুলে
বানর-পেঁচা জাতির মূলে,
মানুষ গেলো কই?


উন্মাদনা যে চারপাশে!
তারই মাঝে লোলুপ হাসে
জন্তু কিছু অভিলাষে
লক্ষ্য করে সই!!


যায় যদি মান তাদের হাতে
কি আসে বা কি যায় তাতে?
আমিও আজ সব হারাতে
পিছপা মোটেই নই।



১৬টি মন্তব্য


২২ মার্চ ২০১৮
বেশ কবি বেশ।।
২৬ মার্চ ২০১৮
:)
১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
শব্দ,ছন্দও লেখনিতে দারুণ!!! একরাশ ফুলেল শুভেচ্ছা রেখে গেলাম প্রিয় কবি। ভালো থাকুন।
১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
ধন্যবাদ
১৫ অগাস্ট ২০১৬
অনেক সুন্দর হয়েছ। ভাইয়া আপনার সাথে কিছু কথা ছিলো, কিভাবে যোগাযোগ করতে পারি?
২৩ অগাস্ট ২০১৬
ধন্যবাদ। আমাদের ফেসবুকের পাতায় আপনার সাথে মেসেজে কথা হয়েছে।
২২ জুন ২০১৬
ছন্দে ভাবনায় অনন্য অসাধারণ....
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬
ধন্যবাদ
১১ এপ্রিল ২০১৬
ছন্দে কাব্যে প্রতিবাদের ঝড় এডমিনের কবিতায়, হবে নাই বা কেন একটা ইলিসের নিলাম মূল্য যেখানে লক্ষ ষোল হাজার। বিকার মহামারী হবে না, কেননা পয়সার খেলাতে সবাই ভাগ নিতে পারে না। তবে বাড়াবাড়িটা চোখে লাগে, স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হয়। কবি দেশে থাকেন না তবু দেশের জন্য সদা ভাবনা জেগে থাকে; এই টানটাই মানুষের থাকে। কবিকে অনেক শুভেচ্ছা।
১১ এপ্রিল ২০১৬
ধন্যবাদ আপনাকে যোগেশ বিশ্বাস
১০ এপ্রিল ২০১৬
মাতালগুলোর উলঙ্গ নাচ ভেঙ্গে ফেলে শরমের কাচ পাচ্ছি আমি বিপ্লবী আঁচ এবার এই বৈশাখে; ইলিশ মাছের তিরিশ কাঁটা জাতির ভালে পড়লো ঝাটা লক্ষ টাকার সরষে বাটা খাওয়াবে তা কাকে? বেশ ভালো লাগলো। ছন্দ ও বক্তব্যের পরিচ্ছন্নতা।
১০ এপ্রিল ২০১৬
সুন্দর ছান্দিক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ কবীর ভাই! বিপ্লব না হলেও স্রোতের বিরুদ্ধেও কিছু আওয়াজ তোলা প্রয়োজন, স্রোতের গতিপ্রকৃতিকে প্রভাবিত করে শুদ্ধতর ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য।
১০ এপ্রিল ২০১৬
বানর পেঁচা জাতীর মূলে মানুষ গেলো কই? শুভেচ্ছা প্রিয় কবি।
১০ এপ্রিল ২০১৬
আমিও চিন্তায় আছি যে মানুষ কই গেলো! ধন্যবাদ আপনাকে
১০ এপ্রিল ২০১৬
ভালো লাগল।ধন্যবাদ
১০ এপ্রিল ২০১৬
ধন্যবাদ উদাস কবি
১০ এপ্রিল ২০১৬
বৈশাখী নাচন! মনে বাজলো ঝনঝন। শুভেচ্ছা কবি।
১০ এপ্রিল ২০১৬
আপনাকেও শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
১০ এপ্রিল ২০১৬
রাতে ফেসবুকে পড়েছিলাম, খুব ভাল লাগা মিষ্টি ছড়া, মাঝে মাঝে এই ভাবে চাই যে আরও, বঞ্চিত যেন না হই।
১০ এপ্রিল ২০১৬
ধন্যবাদ আপনাকে
১০ এপ্রিল ২০১৬
স্রোতে গা ভাসানেরা নাচ অপূর্ব......!
১০ এপ্রিল ২০১৬
ধন্যবাদ ফিরোজ হোসেন।
১০ এপ্রিল ২০১৬
খুব খুব সুন্দর খুব ভালো।প্রিয় কবি, আলোচনা বিভাগে "প্রিয় এডমিন ও আসরের কবিগণঃ বিষয় অতিথি আলাপন" নামে একটি পোস্ট দিয়েছি। মতামত জানাবেন প্লিজ।
১০ এপ্রিল ২০১৬
ধন্যবাদ। আপনার লেখাটি আগেই দেখেছি। এব্যপারে কিছু প্রশ্ন আছে আমার, যা ঐ লেখার মন্তব্যেই উপস্থাপন করবো পরে।
১০ এপ্রিল ২০১৬
ছড়া-ছন্দে বিকৃত সমাজের ছবি খুবই মনোমুগ্ধকর । শুভেচ্ছা জানাই নবীন কবিকে । ভালো থেক ।
১০ এপ্রিল ২০১৬
ধন্যবাদ আপনাকে
১০ এপ্রিল ২০১৬
বেশ ছন্দময় , বেশ সুমুধুর এবং অনবদ্য| ভালো থাকবেন কবি|
১০ এপ্রিল ২০১৬
ধন্যবাদ সুকান্ত
৯ এপ্রিল ২০১৬
"বাঙালী যে ছিলাম ভুলে, অাজকে দেখি দু'চোখ খুলে"-----পুরো কবিতায় এই দু'টো লাইন কবিতাকে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে অামার দৃষ্টিকোণ হতে।খুব ভালো লাগলো। "বানর-পেঁচা জাতির মূলে, মানুষ গেলো কই?"--------যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হলো তা প্রতিনিয়তই অামাদের ভাবায়।"মানুষ গেলো কই?"----সত্যিই ভাবায়। এই কবিতায় ছন্দের কলকল ঢেউয়ের মাঝেও ভাবনার যে স্রোত অাছে, তাঁর ওপরই ভেসে যাবে পাঠক।সে হিসেবে কবিতা সার্থক। "উর্দি নাচে" "কুর্দি নাচে" "ফুর্তি নাচে"-----"নাচে"শব্দটির পুনরাবৃত্তি হলেও একধরণের সুর ও ছন্দতাল অাছে।যা ভালো লেগেছে। এবার পুরো কবিতাটি পড়ার দু'টি শব্দ সম্পর্কে একটু জানার ইচ্ছা জেগে উঠলো।অবশ্য কোন কিছু না জানা থাকাটা দোষের নয়। "উর্দি""কুর্দি"----এই দুটো শব্দের প্রকৃত অর্থ যদি অামায় একটু বলে দিতেন তবে কৃতজ্ঞ থাকবো।"কুর্দি নাচে"---কুর্দি শব্দটি জানা নেই,হ্যা,তবে কুর্দন শব্দটির অর্থ হলো নাচ,লাফালাফি করা,নাচন,লাফ ইত্যাদি।তাই"নাচে "শব্দটির পূর্বে "কুর্দি"শব্দটি থাকায় একটু প্রশ্ন জাগলো।অামার সীমাবদ্ধতাকে ক্ষমা করবেন।যখন মন্তব্যটি লিখছি তখন ভাবছি --অাপনি এডমিন নন অাজ,শুধুই কবি..... ভালো থাকুন।শুভেচ্ছা জানাই।
১০ এপ্রিল ২০১৬
ধন্যবাদ ইথার। উর্দি - ইউনিফর্ম বা আনুষ্ঠানিক পোষাক। এখানে বৈশাখী সাজে পরিধেয় বস্ত্র বুঝানো হয়েছে, যা এই একদিনের জন্য একরকম আনুষ্ঠানিক পোষাকই বটে। কুর্দি - কুর্দিস্থানীয়। এখানে কুর্দি বা কুর্দিস্থানীয় নাচ বলতে বিজাতীয় নাচ বুঝানো হয়েছে।
১০ এপ্রিল ২০১৬
অামি এবার পরিষ্কার বুঝতে পেরেছি।অামার নিজের উপকার হলো।কৃতজ্ঞতা জানাই।শুভেচ্ছা।অাসরটা সমৃদ্ধ হোক অন্তর হতে কামনা করি।অাল্লাহ হাফেজ।
৯ এপ্রিল ২০১৬
দুঃখিত অামার একটু টাইপিং এরর হয়ে গেছে---কবিতাটি পড়ার<কবিতাটি পড়ার পর.........
৯ এপ্রিল ২০১৬
বানরের বিবর্তনে যে মনুষ্যরূপের আবির্ভাব তাদের মানসিকতা এতটাই নিচে নেমে গেছে যে আজ বসুন্ধরা চোখের জল ফেলে আফসোস করে।আমরা সত্যিই মানুষ হতে আর পারলাম কই। প্রিয় কবির কবিতা পড়ে বিবেকে নাড়া দিয়ে উঠে। ঐতিহ্য ভুলে বাঙালী জেনে হিতাতিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। বাস্তব এক অনবদ্য কবিতার জন্য কবিকে অভিবাদন। অগ্রিম নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল। আনন্দধারায় ভেসে থাকুন সর্বক্ষন।
৯ এপ্রিল ২০১৬
ধন্যবাদ কল্লোল
মন্তব্য করুন